!-- your other meta element -->
শিরোনাম:

Untitled

Wyjątkowe VOX casino online premie dla graczy: oferty wejściowe i pozostałe korzyści

brucebet casino – Państwa renomowany sektor rozrywki w sieci w polskim kraju

Pełne odniesienie do transferów funduszy VOX casino online i pobierania funduszy

Najlepszy przewodnik po transakcjach i wypłatach VOX casino online

‘আ.লীগের কোনো নেতা সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়নি, তারা কলকাতায় আরাম-আয়েশে ছিল’

ডেইলি রিপোর্টঃ
প্রকাশিত : সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৫

বদরুদ্দীন উমর লেখক, গবেষক ও বামপন্থী রাজনীতিক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিপিই ডিগ্রি পান। দেশে ফিরে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন। গভর্নর মোনায়েম খানের স্বৈরতান্ত্রিক আচরণের প্রতিবাদে ১৯৬৮ সালে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা ছেড়ে সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেন।

তিনি রোববার সকালে ঢাকার একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। তার বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর।

গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থায় (বাসস) তার দীর্ঘ সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়। এতে তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস ও পূর্বাপর ঘটনাবলীর গুরুত্বপূর্ণ দিকসমূহ তুলে ধরেন। আলোচিত সাক্ষাতকারটি আবার প্রকাশ করা হয়েছে।







মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বদরুদ্দীন উমর বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কোনো নেতা সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়নি, তারা কলকাতায় আরাম-আয়েশে ছিল।’

স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি এবং এ নিয়ে বিতর্ক এবং প্রকৃত সত্য আড়াল করার প্রচেষ্টা সম্পর্কে বদরুদ্দীন উমর বাসসকে বলেন, এই স্বাধীনতা আন্দোলনকে প্রথম থেকেই এমনভাবে বলা হয়েছে যে, শেখ মুজিবই এই যুদ্ধের মহানায়ক। পরে-তো শেখ হাসিনা এই স্বাধীনতা যুদ্ধের কথা এমনভাবে বলতো যেন, এটা তাদের পারিবারিক ব্যাপার, তাদের পরিবারই নাকি এই যুদ্ধ পরিচালনা করেছে, ইতিহাসের এই যে আবর্জনা এখন পরিষ্কার করার সময় হয়েছে।

স্বাধীনতা যুদ্ধ কীভাবে শুরু হলো- এ প্রশ্নের জবাবে বদরুদ্দীন উমর বলেন, ১৯৭১ এর মার্চের শুরু থেকে ক্ষমতা হস্তান্তরের চলমান আলোচনা ভেঙে যাওয়ায় এবং ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি বাহিনীর নৃশংস হামলার কারণেই স্বাধীনতা যুদ্ধ অপরিহার্য হয়ে পড়ে। এ কারণে যুদ্ধের কোনো প্রস্তুতি ছাড়াই দেশের মানুষ একটি অসম যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। শেখ মুজিব সম্পর্কে এটা বলা যায় যে, তিনি আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা চেয়েছিলেন এটা একটা ভুয়া কথা। আসলে তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে ১৯৭১ সালে শেখ মুজিব এই বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি, তিনি চেয়েছিলেন পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় কাঠামোর মধ্যে সর্বোচ্চ আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং নিজে চেয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে।

তিনি আসলে দুটো বিষয়কে মেনে নিতে পারেননি, একটা হচ্ছে তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেননি, যেটা তিনি চেয়েছিলেন। দ্বিতীয়টি হচ্ছে তার অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে যাওয়া। এ জন্য স্বাধীনতার পর দেশে ফিরে শেখ মুজিব বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ সম্পর্কে কিছুই জানতে চাইতেন না, তাজউদ্দিনসহ অন্য নেতারা দেশে কী হয়েছিল ৭১ সালে, সেটা জানানোর এবং বলার চেষ্টা করেছেন কিন্তু তিনি কিছুতেই শুনতে চাইতেন না।

শেখ মুজিবের ৭ মার্চের ভাষণে স্বাধীনতা ঘোষণার দাবি সম্পর্কে উমর বলেন, ৭ মার্চের যে বক্তৃতা, সাধারণত বলা হলো এটা ছিল স্বাধীনতার ঘোষণা, কারণ শেখ মুজিব বলেছিলেন এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, মুক্তির সংগ্রাম ইত্যাদি, কিন্তু দেখা যায় এসব কথা একেবারেই ভুয়া ছিল। এসব কথা তিনি বলেছিলেন তৎকালীন পরিস্থিতির চাপে, কেননা জনগণের অভ্যুত্থান তো ১ মার্চ থেকেই শুরু হয়েছিল, ইয়াহিয়া যখন বললো এখানে জাতীয় পরিষদের বৈঠক ৩ তারিখে হবে না, তখনই কারো অপেক্ষা না করে অভ্যুত্থান আরও তীব্র হলো, সেই পরিস্থিতির চাপে এবং স্বাধীনতার ঘোষণার জন্য তখন ছাত্রদেরও চাপ ছিল, এই চাপের মুখে উত্তেজনার বশে শেখ মুজিব এই বক্তৃতা দিয়েছিলেন, এতে তিনি এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, লাঠিসোঁটা নিয়ে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো- এ জাতীয় কথাবার্তা বলেছিলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য কেউ ঘরে ঘরে দুর্গ তৈরি করে না, ঘর থেকে বেরিয়েই যুদ্ধ করতে হয়। এটা লাঠিসোটারও কাজ নয়, যেখানে শত্রুরা কামান-বন্দুক-যুদ্ধবিমান নিয়ে সজ্জিত আছে, সেখানে লাঠিসোটায় কাজ হয় না- শেখ মুজিবের এসব ছিল কেবল কথার কথা।

Facebook Comments Box

পূর্ববর্তী সংবাদ পরবর্তী সংবাদ
সর্বশেষ সংবাদ
  • সর্বাধিক পঠিত