!-- your other meta element -->
ইরানকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেডরিখ মার্জ। তিনি বলেছেন, তেহরান যদি পারমাণবিক আলোচনার টেবিলে ফিরে না আসে, তবে দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচি ‘পুরোপুরি ধ্বংস’ করে দেওয়া হতে পারে। একইসঙ্গে তিনি ইরানের ওপর ইসরায়েলি হামলাকে সমর্থন করে বলেন, ইসরায়েল সবার হয়ে ‘নোংরা কাজটি’ করে দিচ্ছে।
মঙ্গলবার কানাডায় অনুষ্ঠিত জি-৭ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন।
জার্মানির সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম জেডডিএফ-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফ্রেডরিখ মার্জ সতর্ক করে বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে যোগ দেওয়ার কথা বিবেচনা করছেন। তার মতে, কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপ করতে পারে।
তিনি বলেন, “ইরানি সরকার যদি আলোচনার টেবিলে ফিরতে রাজি হয়, তবে আর কোনো সামরিক হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হবে না। কিন্তু তা না হলে, ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি পুরোপুরি ধ্বংস করার বিষয়টিই সামনে চলে আসবে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “এই কাজটি ইসরায়েলি সেনাবাহিনী একা করতে পারবে না, কারণ তাদের কাছে প্রয়োজনীয় অস্ত্র নেই, যা আমেরিকানদের কাছে আছে।” তার এই বক্তব্যে ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন-ইসরায়েলি যৌথ অভিযানের স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
ইরানের নেতৃত্বের প্রতি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কঠোর সমালোচনা করে মার্জ বলেন, তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি, সামরিক অবস্থান এবং পররাষ্ট্রনীতি কেবল ইসরায়েল নয়, বরং মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের দেশগুলোর জন্যও বড় হুমকি।
সাক্ষাৎকারে সাংবাদিক যখন প্রশ্ন করেন, ইসরায়েল কি ইরানের ওপর বিমান হামলা চালিয়ে ‘নোংরা কাজটি’ করছে? জবাবে মার্জ বলেন, “আমি আপনার কাছে কৃতজ্ঞ যে আপনি ‘নোংরা কাজ’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন। ইসরায়েল ঠিক এই কাজটিই আমাদের সকলের জন্য করছে। আমরা সবাই এই শাসকগোষ্ঠীর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত। এই মোল্লাতন্ত্র বিশ্বে মৃত্যু ও ধ্বংসযজ্ঞ নিয়ে এসেছে।”
তিনি ইরানকে অন্য দেশে হামলা চালানো, গুপ্তহত্যা করা, মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল-বিরোধী জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন দেওয়া এবং ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহের জন্য অভিযুক্ত করেন।
মার্জ বলেন, “হ্যাঁ, ইসরায়েল সেখানে নোংরা কাজটি করেছে। আমি ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ও নেতৃত্বের প্রতি আমার সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা জানাচ্ছি, কারণ তারা এই কাজটি করার সাহস দেখিয়েছে। তাদের এই পদক্ষেপ ছাড়া হয়তো আমরা এই শাসকগোষ্ঠীর সন্ত্রাস আরও কয়েক মাস বা বছর ধরে দেখতাম এবং তখন সম্ভবত তাদের হাতে পারমাণবিক অস্ত্রও থাকত।”