!-- your other meta element -->
ফিলিস্তিন ও ইরানে ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ। কর্মসূচিতে ইসরায়েলের পতাকায় অগ্নিসংযোগ করা হয় এবং আগ্রাসন মোকাবিলায় ফিলিস্তিন ও ইরানকে অস্ত্র-গোলাবারুদ দিয়ে সহযোগিতার জন্য মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়। বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ফজলুর রহমানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিভিন্ন ছাত্র ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দীন বলেন, ‘৭০ বছর ধরে ফিলিস্তিন দখলের ধারাবাহিকতায় এখন ইরানে মুসলিম বিরোধী আগ্রাসন শুরু হয়েছে। অস্তিত্ব রক্ষায় বিশ্বের সকল মুসলমানকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, অন্যথায় আমরা হামলা ও আগ্রাসন থেকে বাঁচতে পারব না।’
তিনি জাতিসংঘের ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করে বলেন, ‘জাতিসংঘ মুসলমানদের রক্ষা করবে, এমনটা ভাবা ভুল। নিরাপত্তা পরিষদে মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা নেই। যখনই ইসরায়েল বা পশ্চিমা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব ওঠে, যুক্তরাষ্ট্র তাতে ভেটো দেয়।’
একই সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইয়েদ কুতুব বলেন, ‘অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েল পৃথিবীর প্রতিটি মুসলিম দেশের দিকে আগ্রাসন চালাচ্ছে। এটি পৃথিবীর ক্যান্সার। ফিলিস্তিনের পক্ষে দাঁড়ানোয় তারা ইরানের ওপর হামলা চালিয়েছে।’ তিনি বাংলাদেশেও ইসরায়েলি প্রযুক্তি ব্যবহার করে দমন-পীড়ন চালানোর অভিযোগ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে আবদুল ওয়াহেদ বলেন, ‘ফিলিস্তিনের পর এখন ইরানকে টার্গেট করেছে ইসরায়েল, যার পেছনে আমেরিকা ও জি-৭ রাষ্ট্রগুলোর ইন্ধন রয়েছে। আমরা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি ইরানকে সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করার এবং জাতিসংঘে ইসরায়েল ও আমেরিকা বিরোধী বিল উত্থাপনের দাবি জানাই।’
সমাবেশে সংহতি জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত পাকিস্তানি ছাত্র মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘গ্রেটার ইসরায়েল প্রতিষ্ঠায় ইরান ও পাকিস্তান বড় বাধা। এই দুই রাষ্ট্র ধ্বংস হলে মুসলমানদের অবস্থান তলানিতে যাবে। তাই সব মুসলিম রাষ্ট্রের উচিত ইরানের পাশে দাঁড়ানো।’
বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, কলাভবনসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে মধুর ক্যান্টিনে গিয়ে শেষ হয়।