!-- your other meta element -->
শিরোনাম:

Untitled

Wyjątkowe VOX casino online premie dla graczy: oferty wejściowe i pozostałe korzyści

brucebet casino – Państwa renomowany sektor rozrywki w sieci w polskim kraju

Pełne odniesienie do transferów funduszy VOX casino online i pobierania funduszy

Najlepszy przewodnik po transakcjach i wypłatach VOX casino online

তিস্তায় চীন চিকিৎসায় চীন ভারত এবার কি গ্যালারির বাইরে

ডেইলি রিপোর্টঃ
প্রকাশিত : এপ্রিল ১৪, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে পানিবণ্টন নিয়ে দীর্ঘদিনের জটিলতা ও অনিশ্চয়তার মধ্যেই তিস্তা প্রকল্পে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে। ভারতের বারবারের অজুহাত আর চুপচাপ বসে থাকার কৌশলের বিপরীতে এবার দৃশ্যপটে সরব চীন। বিশেষ করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুসের সাম্প্রতিক চীন সফরের পর দৃশ্যমান হয়েছে এক নতুন বাস্তবতা।

বেইজিং তিস্তা নদী ব্যবস্থাপনা ও পুনরুদ্ধার প্রকল্পে অংশগ্রহণে আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং এই প্রকল্পে বিশাল বিনিয়োগও নিয়ে আসছে। এর আওতায় রংপুর অঞ্চলে তিস্তার পাশে একটি ১,০০০ শয্যার আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনাও প্রকাশ পেয়েছে, যা দুই দেশের ৫০ বছরের কূটনৈতিক সম্পর্ক উদযাপনের অংশ হিসেবে চীন উপহার হিসেবে দেবে।

এই হাসপাতালের জন্য নীলফামারী, রংপুর ও দিনাজপুরের মাঝামাঝি এলাকায় প্রায় ১২ একর জমি নির্ধারণ করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তিস্তা নিয়ে ভারতের অনীহার বিপরীতে চীনের সক্রিয়তা এই অঞ্চলে ভৌগোলিক ও কৌশলগত ভারসাম্যে বড় পরিবর্তন আনতে পারে।







২০১১ সালে একটি খসড়া চুক্তিতে প্রস্তাব ছিল— শুষ্ক মৌসুমে তিস্তার পানির ৩৭.৫ শতাংশ পাবে বাংলাদেশ, ৪২.৫ শতাংশ যাবে ভারতের ভাগে এবং বাকি পানি পরিবেশ রক্ষায় সংরক্ষিত থাকবে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতার অজুহাতে চুক্তিটি আজও বাস্তবায়ন হয়নি।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিষয়টি মূলত ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের আওতাধীন হলেও মমতার বিরোধিতাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে মোদি সরকার দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশকে তার ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত করে এসেছে। অথচ পশ্চিমবঙ্গেই কেন্দ্রীয় সরকার এমন বহু প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে যেখানে মমতার সম্মতি ছিল না।

ড. ইউনুসের চীন সফরের পর দৃশ্যমান হচ্ছে নতুন এক গতিপথ। বাংলাদেশ আর মমতা বা মোদির দয়া বা মানভঞ্জনের অপেক্ষায় নেই। ঢাকা-বেইজিং ইতোমধ্যে ২০২৬ সাল পর্যন্ত চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান Power Construction Corporation of China (POWERCHINA)-এর সঙ্গে তিস্তা রিভার কমপ্রিহেনসিভ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রিকভারি প্রজেক্ট (TRCMRP)-এর মাস্টারপ্ল্যান চূড়ান্ত করতে সময়সীমা বাড়িয়েছে।

ভারতের জন্য এটি শুধু কূটনৈতিক নয়, কৌশলগত চাপও বয়ে আনছে। একদিকে নেপাল ও ভুটান ভারতের আগের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলয়ে থাকলেও আজ তারা স্বাধীন অবস্থান নিচ্ছে, অন্যদিকে বাংলাদেশে চীনের প্রভাবশালী পদক্ষেপে ভারত নিজেদের ছক ও পরিকল্পনায় বড় ধাক্কা খাচ্ছে।

ভারত দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশ থেকে একতরফা সুবিধা নিয়েছে, অথচ ফিরিয়ে দেওয়ার বেলায় বরাবরই কৃপণতা দেখিয়েছে। তিস্তা চুক্তি এ ক্ষেত্রে বড় উদাহরণ। তবে এবার হিসাব বদলে যাচ্ছে। ভারতের ‘প্ল্যান এ-বি-সি’ ব্যর্থ হয়েছে বলেই প্রতীয়মান। বাংলাদেশের কূটনীতিতে চীনের সরাসরি অংশগ্রহণ ভারতের জন্য সতর্কবার্তা।

তিস্তা যদি বাস্তবে চীনের মাধ্যমে রূপ পায়, তাহলে ভারতের সঙ্গে ভবিষ্যতের সম্পর্কেও নতুন হিসাব কষে এগোতে হবে ঢাকা নয়, বরং দিল্লিকেই।

Facebook Comments Box

পূর্ববর্তী সংবাদ পরবর্তী সংবাদ
সর্বশেষ সংবাদ
  • সর্বাধিক পঠিত