শিরোনাম:
চীনা নাগরিকদের ইসরায়েল ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছে তেল আবিবে অবস্থিত চীনা দূতাবাস। আজ মঙ্গলবার এক বার্তায় চীনা দূতাবাস তাদের নাগরিকদের উদ্দেশ্যে বলেছে, ‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ইসরায়েল ছাড়ুন।’ ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
চীনা দূতাবাসের বার্তায় বলা হয়েছে, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে তীব্র সংঘাত এখনো চলছে। ফলে ইসরায়েলে থাকা চীনা নাগরিকদের নিরাপত্তার প্রয়োজনেই স্থল সীমান্ত দিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ইসরায়েল ছাড়ার কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে ইসরায়েলের চীনা মিশন।
চীনা দূতাবাস এই বিবৃতিটি উইচ্যাটে প্রকাশ করেছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, চীনা নাগরিকদের অবিলম্বে জর্ডানের দিকে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
ইসরায়ের–ইরান সংঘাত ‘ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে’ জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে চীনা দূতাবাস। ইসরায়েলের চীনা মিশন বলেছে, কয়েক দিনের সংঘাতে বহু বেসামরিক অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও গুরুতর হয়ে উঠছে।
এদিকে ইসরায়েল–ইরান সংঘাত পঞ্চম দিনে গড়িয়েছে। আজ ইরানের রাজধানী তেহরানের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তেহরানের বাসিন্দাদের অবিলম্বে শহরটি খালি করার আহ্বান জানান।
ধারণা করা হচ্ছে, ইসরায়েল তেহরানে বড় পরিসরের হামলা চালাতে পারে। সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় তেহরানে সক্রিয় করা হয়েছে ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার বলা হয়, ইরান থেকে তেল আবিব, হাইফা সহ ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হচ্ছে। তেহরান জানিয়েছে, হামলা অব্যাহত থাকবে এবং তা আরও বিস্তৃত আকারে চালানো হতে পারে।
গত ১৩ জুন ভোররাত ৩টার দিকে ইরানে হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলি পক্ষে বলা হয়েছে, অদূর ভবিষ্যতে ইসরায়েল ও এর বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্রসহ ড্রোন হামলার আশঙ্কা থেকে ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় আগাম প্রতিরোধমূলক হামলা চালানো হয়েছে। ওই হামলা এখনো অব্যাহত রয়েছে। জবাবে ইসরায়েলে পাল্টা হামলা চালাচ্ছে ইরানও।
আল জাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় ইরানে এখন পর্যন্ত অন্তত ২২৪ জন নিহত হয়েছে। আর ইসরায়েলে ইরানের হামলায় নিহত হয়েছে অন্তত ২৪ জন।