!-- your other meta element -->
ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান সামরিক উত্তেজনার কারণে পারমাণবিক স্থাপনা থেকে বিকিরণ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়ছে এবং পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতা রোধের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে সতর্ক করেছে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)। সোমবার সংস্থাটির প্রধান মারিয়ানো গ্রোসি এক জরুরি অধিবেশনে এই গভীর উদ্বেগ ও হুঁশিয়ারি প্রকাশ করেন।
আইএইএ’র বোর্ড অব গভর্নরসের উদ্দেশে দেওয়া এক বিবৃতিতে গ্রোসি জানান, গত শুক্রবার ইরানের নাতাঞ্জ পারমাণবিক কেন্দ্রে ইসরায়েলি হামলার পর সেখানে নতুন করে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। কেন্দ্রটির বাইরের অংশে তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে। তবে তিনি নাতাঞ্জ কেন্দ্রের ভেতরে তেজস্ক্রিয় ও রাসায়নিক দূষণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। যদিও তিনি মন্তব্য করেন, উপযুক্ত সুরক্ষামূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে এই ঝুঁকি কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব।
মারিয়ানো গ্রোসি ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে আরও বলেন, ‘ইসফাহান পারমাণবিক কেন্দ্রে শুক্রবারের হামলায় চারটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলো হলো: কেন্দ্রীয় রাসায়নিক গবেষণাগার, একটি ইউরেনিয়াম রূপান্তর কেন্দ্র, তেহরান চুল্লির জ্বালানি উৎপাদন কেন্দ্র এবং নির্মাণাধীন একটি ইউএফ৪ থেকে ইইউ মেটাল প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র।’
তবে তিনি আশ্বস্ত করেন যে, ফোরদো ফুয়েল এনরিচমেন্ট প্ল্যান্ট, নির্মাণাধীন খোন্দাব হেভি ওয়াটার রিয়্যাক্টর এবং বুশেহর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে কোনো হামলা বা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তেহরান রিসার্চ রিয়্যাক্টরও সম্পূর্ণ অক্ষত রয়েছে।
আইএইএ প্রধান জানান, তিনি ইরানে কর্মরত সংস্থাটির পরিদর্শকদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন। পারমাণবিক স্থাপনার সুরক্ষা এবং পারমাণবিক প্রযুক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার অব্যাহত রাখতে তিনি যেকোনো মুহূর্তে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত।
সবশেষে তিনি কঠোর ভাষায় সতর্ক করে বলেন, ‘সামরিক উত্তেজনা মানুষের জীবনকে হুমকির মুখে ফেলছে। এটি পরিবেশ ও মানুষের জন্য ভয়াবহ পরিণতিসহ পারমাণবিক বিকিরণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়াচ্ছে এবং ইরান যাতে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে না পারে, সেই দীর্ঘমেয়াদী কূটনৈতিক সমাধানকে বিলম্বিত করছে।’