!-- your other meta element -->
শিরোনাম:

Untitled

Wyjątkowe VOX casino online premie dla graczy: oferty wejściowe i pozostałe korzyści

brucebet casino – Państwa renomowany sektor rozrywki w sieci w polskim kraju

Pełne odniesienie do transferów funduszy VOX casino online i pobierania funduszy

Najlepszy przewodnik po transakcjach i wypłatach VOX casino online

মোদি আর এখন হাসিনার পাশে নেই

ডেইলি রিপোর্টঃ
প্রকাশিত : এপ্রিল ৮, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেখ হাসিনা—এক সময়ের ক্ষমতাধর নেত্রী, এখন এক পলাতক শাসকের নাম। বাংলাদেশের ইতিহাসে গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত এই স্বৈরাচার এখন দিল্লিতে আশ্রিত। কিন্তু তাতেও তার ক্ষোভ, তার ক্ষমতা হারানোর যন্ত্রণা থামেনি।

তিনি বারবার নাম-বেনামে লাইভে এসে বলছেন, তিনি আবার ফিরবেন, আবার ক্ষমতায় আসবেন। এসব কথার মধ্য দিয়ে তিনি তার অনুসারীদের মাঝে আশার আলো জ্বালিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন। কিন্তু যিনি নিজের কর্মীদের অন্ধকারে ফেলে নিজেই সরে যান, তার কথায় আর বিশ্বাস করে কে?







এই মুহূর্তে তার সবচেয়ে বড় ক্ষোভ—ড. মোহাম্মদ ইউনুস। তাকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে মেনে নিতে পারছেন না হাসিনা। তার নাম উচ্চারণ করলেই যেন ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি।

কিন্তু বাস্তবতায়, তার কণ্ঠের গর্জনই সব, কার্যত কিছুই করতে পারছেন না। দেশের মানুষ আজো তার বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ। বাংলাদেশের গণআদালতে তো বটেই, আন্তর্জাতিক পরিসরেও তিনি এখন গণহত্যাকারী হিসেবে চিহ্নিত। জাতিসংঘের তদন্ত রিপোর্ট এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের মূল্যায়ন, দুটোই তার জন্য আশঙ্কাজনক।

ভারতও এখন দ্বিধায়। একসময় হাসিনার পাশে থাকা দিল্লিও এখন বুঝে গেছে—বাংলাদেশে তার আর ফেরা সম্ভব নয়। নরেন্দ্র মোদি শুরুতে থাইল্যান্ডে ড. ইউনুসের সঙ্গে সাক্ষাৎ এড়িয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু শেষমেশ তিনি বৈঠকে বসেছেন, দীর্ঘ সময় কথা বলেছেন এবং স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিয়েছেন—বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক এখন ব্যক্তিনির্ভর নয়।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দিল্লির অনিচ্ছা-দ্বিধা অনেকটাই কেটে গেছে। বাস্তবতা মেনে নিতে শুরু করেছে তারা। ড. ইউনুসের কূটনৈতিক দক্ষতায় হাসিনাকে ছাড়া পথ চলার সিদ্ধান্তে অনেকটাই এগিয়েছে ভারত।

তবে দিল্লির একটিই বড় প্রশ্ন—হাসিনাকে তারা কী করবে? ফেরত পাঠাবে, নাকি স্থায়ীভাবে আশ্রয় দেবে? কারণ, একজন স্বীকৃত গণহত্যাকারীকে অন্য কোনো দেশ রাজনৈতিক আশ্রয় দিতে আগ্রহী হবে না।

এখন হাসিনার জন্য পথ কেবল একটাই—লাইভে এসে কথার ফুলঝুরি। কিন্তু সে কথায় আর বাস্তবতা বদলায় না। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশে ফেরা তো দূরে থাক, আন্তর্জাতিক অপরাধের আসামি হিসেবে তার ভবিষ্যৎ এক বন্দির মতোই।

এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা—এই গল্পের শেষ কোথায় গিয়ে ঠেকে।

Facebook Comments Box

পূর্ববর্তী সংবাদ পরবর্তী সংবাদ
সর্বশেষ সংবাদ
  • সর্বাধিক পঠিত