!-- your other meta element -->
নিজস্ব প্রতিবেদক: দক্ষিণ এশিয়ায় যুদ্ধের উত্তাপ ফের তীব্র হচ্ছে। সিন্ধু নদ ঘিরে নতুন করে মুখোমুখি ভারত ও পাকিস্তান। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ সাফ জানিয়েছেন— ভারতের যদি সিন্ধু নদে পানি আটকে রাখার পরিকল্পনা থাকে, তাহলে পাকিস্তান পাল্টা জবাবে গুলি নয়, মিসাইল ছুড়বে।
এই বক্তব্য শুধু রাজনৈতিক বার্তা নয়, বরং একে ‘ওপেন অ্যাক্ট অফ ওয়ার’ বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা। ফলে ২০২৫ সালের মধ্যেই দুটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে ‘পানি যুদ্ধ’-এর আশঙ্কা জোরদার হলো।
পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর ভাষ্য, “সিন্ধুর পানি আটকে দেয়া মানেই পাকিস্তানের খাদ্য, পানি ও জীবনের ওপর সরাসরি আগ্রাসন।”
সম্প্রতি জিও টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “যুদ্ধ মানেই শুধু গুলি নয়, খরা ও তৃষ্ণাও যুদ্ধের অংশ। সিন্ধুর পানি আটকে দিলে ভারতের যেকোনো স্থাপনায় হামলা করবে পাকিস্তান।”
পাকিস্তান ইতোমধ্যে ৪৫০ কিমি পাল্লার ‘আবদালি ব্যালিস্টিক মিসাইল’ সফলভাবে উৎক্ষেপণ করেছে। সেনাবাহিনী এটিকে তাদের যুদ্ধ প্রস্তুতির অংশ হিসেবে অভিহিত করেছে। ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের চলমান উত্তেজনার মধ্যে এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণকে মোদি সরকার ‘সরাসরি উস্কানি’ হিসেবে দেখছে।
ইতিমধ্যে ইসলামাবাদে পররাষ্ট্র ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যৌথ বৈঠকে সিন্ধু চুক্তির বিষয়টি আন্তর্জাতিক আদালতে তোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাকিস্তান বলছে, ভারতের একতরফা আচরণ রুখতেই তারা কূটনৈতিক ও সামরিক উভয় প্রস্তুতি নিচ্ছে।
পাকিস্তানের সামরিক মহড়াও এখন তুঙ্গে। সম্প্রতি পাঞ্জাব প্রদেশে বিশাল এক মহড়া হয়েছে যেখানে সেনাপ্রধান আসিম মুনির সরাসরি উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানান, “আমরা শান্তি চাই, তবে আত্মসমর্পণ নয়। ভারতের যেকোনো আগ্রাসনের জবাব দিতে পাকিস্তান সম্পূর্ণ প্রস্তুত।”
অন্যদিকে, পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো এক জনসভায় বলেন, “সিন্ধুতে যদি পানি না চলে, তাহলে রক্ত বইবে। পাকিস্তান যুদ্ধ চায় না, তবে মোদির মুখোমুখি হতেও পিছপা হবে না।”
কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও তলানিতে ঠেকেছে। এর প্রেক্ষিতে ভারত একতরফাভাবে সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করেছে এবং পাকিস্তানি নাগরিকদের সব ধরনের ভিসা বাতিল করেছে।
জবাবে পাকিস্তানও হুমকি দিয়েছে, তারা শিমলা চুক্তিসহ সকল দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্থগিত করবে।
সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, পাকিস্তানের সামনে এখন যুদ্ধ কোনো অপশন নয়, এটি বাস্তবতা। কারণ সরকারি ও বিরোধী দল উভয়ের কণ্ঠে এখন একটাই বার্তা— এবার ভারতীয় আগ্রাসনের শেষ, পাল্টা আঘাত আসবে ইসলামাবাদ থেকে।
এই আঘাত শুধু কথায় নয়, হতে পারে সরাসরি সামরিক পদক্ষেপে। সিন্ধু নদ এখন আর শুধুই পানি নয়, এটি পরমাণু যুদ্ধের স্পার্কপয়েন্টে পরিণত হয়েছে।
পাকিস্তান প্রস্তুত। কিন্তু প্রশ্ন হলো— ভারত কি জানে এই যুদ্ধ শুরু হলে তা কোথায় গিয়ে শেষ হবে?