!-- your other meta element -->
শিরোনাম:

Untitled

Wyjątkowe VOX casino online premie dla graczy: oferty wejściowe i pozostałe korzyści

brucebet casino – Państwa renomowany sektor rozrywki w sieci w polskim kraju

Pełne odniesienie do transferów funduszy VOX casino online i pobierania funduszy

Najlepszy przewodnik po transakcjach i wypłatach VOX casino online

হাত-পা নেই, মুখে লিখে এসএসসি দিচ্ছেন জিরা

ডেইলি রিপোর্টঃ
প্রকাশিত : এপ্রিল ১০, ২০২৫

জন্ম থেকেই নেই হাত-পা। তাতে কি ছোটবেলা থেকেই একের পর কৃর্তিত্বের সাক্ষর তো আছে। সেই সব অভিজ্ঞতাকে সঙ্গী করেই এবার এসএসসির পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন লিতুন জিরা নামের এক শিক্ষার্থী।

হাত-পা না থাকলেও হাতের বহু ও মুখের সাহায্যে বিশেষ কায়দায় লিখে এবারের এসএসসিতে অংশ নিয়েছেন জিরা।

মণিরামপুর উপজেলার গোপালপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন লিতুন জিরা। উপজেলার নেহালপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছেন তিনি।







জানা গেছে, যশোরের মণিরামপুর উপজেলার সাতনল খানপুর গ্রামের হাবিবুর রহমান ও জাহানারা বেগম দম্পতির দুই ছেলে-মেয়ের মধ্যে ছোট লিতুন জিরা। বড় ছেলে ঢাকার একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন। লিতুন জিরা পিইসি (প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা) ও জেএসসি পরীক্ষায় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন, প্রাথমিকে পেয়েছেন বৃত্তি।

লিতুন জিরার একাগ্রতা আর অদম্য ইচ্ছা শক্তির কাছে তার শারীরিক প্রতিবন্ধকতা হার মেনেছে। উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটি বা পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কার্যক্রমেও স্বীকৃতি পেয়েছেন তিনি ।

একইভাবে ২০২৩ ও ২০২৪ সালে পর পর দুই বছর লিতুন জিরা উপজেলা পর্যায় মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন, ২০২৩ সালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের রচনা প্রতিযোগিতায় জেলা পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন, একই বছর জাতীয় শিশু-কিশোর প্রতিযোগিতায় গোল্ড মেডেল অর্জন করেন।

লিতুন জিরার মা জাহানারা বেগম আবেগতাড়িত কণ্ঠে বলেন, জন্মের পর মেয়ে লিতুন জিরার ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তায় অনেক রাত চোখের পানিতে ভাসিয়েছেন। কিন্তু বড় হয়ে সব কাজেই কৃত্বিতের সাক্ষর রাখছে সে।

বাবা কলেজ শিক্ষক হাবিবুর রহমান বলেন, ছোটবেলায় জিরাকে হুইল চেয়ারে করে প্রাথমিক স্কুলের গন্ডি পার করেছি। সংসারে নানা অভাব অনটন থাকলেও তা সন্তানদের কখনও বুঝতে দেয়নি। জীবনের এই সময়ে এসে আমার মেয়েকে নিয়ে সত্যিই অনেক গর্ব হয়।

মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিশাত তামান্না বলেন, সমাজে এমন শিশু বিরল। জিরার অদম্য মেধা ও ইচ্ছা শক্তি আমাকের মুগ্ধ করেছে।

Facebook Comments Box

পূর্ববর্তী সংবাদ পরবর্তী সংবাদ
সর্বশেষ সংবাদ
  • সর্বাধিক পঠিত