!-- your other meta element -->
ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সাম্প্রতিক খনিজ সম্পদ চুক্তি ৩০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র সহায়তা চালু করতে এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারে। শনিবার রাজধানী কিয়েভে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই মন্তব্য করেন। জেলেনস্কি জোর দিয়ে বলেন, এই ঐতিহাসিক চুক্তি উভয় দেশের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করেছে এবং এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা অংশীদারিত্বের সূচনা।
জেলেনস্কি বলেন, ‘খনিজ উত্তোলন ও প্রক্রিয়াকরণের জন্য একটি যৌথ বিনিয়োগ তহবিল তৈরির এই চুক্তি ইউক্রেনীয় বাজারকে আমেরিকান বিনিয়োগের জন্য উন্মুক্ত করবে। এটি দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা অংশীদারিত্বের প্রস্তাব দেয়। ফলে এই খনিজ সম্পদ চুক্তি উভয় পক্ষের জন্যই লাভজনক।’
ইউক্রেনীয় নেতা আরও জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এই যৌথ তহবিল ইউক্রেনের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আনতে এবং ভবিষ্যতের বিনিয়োগ সুরক্ষিত করতে পারে। তিনি বলেন, ‘আমরা বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে আমাদের ভূখণ্ড এবং আমাদের জনগণকে রক্ষা করতে পারবো। এগুলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে সুরক্ষা দেবে।’
এদিকে, জেলেনস্কি উল্লেখ করেছেন যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনকে আরও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তবে তা বিনামূল্যে হবে না।
প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি মার্কিন কংগ্রেস কর্তৃক অনুমোদিত দুটি সামরিক সহায়তা প্যাকেজের কথাও উল্লেখ করেন – একটি ২০২৫ সালের জন্য ১৫ বিলিয়ন ডলার এবং অপরটি ২০২৬ সালের জন্য পৃথক ১৫ বিলিয়ন ডলারের। তিনি ইঙ্গিত দেন যে, উভয় কিস্তিই ২০২৫ সালে প্রদান করা হতে পারে। এই নতুন তহবিলের কাঠামোর অধীনে ইউক্রেন ধীরে ধীরে তার অংশ পরিশোধ করবে বলে তিনি জানান।
জেলেনস্কি বলেন, ‘এটি ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হবে। ইউক্রেন ধীরে ধীরে তার অংশ পরিশোধ করবে। আমরা এই ধরনের চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছি।’
এই খনিজ চুক্তিটিকে ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যায়িত করে জেলেনস্কি বলেন, এটি ইউক্রেনের অর্থনীতিতে পুনঃবিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করবে এবং কাঁচামাল রপ্তানির বাইরে গিয়ে দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতার পথ খুলে দেবে।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এই চুক্তির ফলে রাশিয়া ইউক্রেনের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না, কারণ ইউক্রেন এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদার।