নিজস্ব প্রতিবেদক: গাজীপুর মহানগরের হায়দারাবাদ এলাকায় বিক্রি হচ্ছে ঘোড়ার মাংস, যার প্রতি কেজির দাম ২৫০-৩০০ টাকা। চর্বিহীন হওয়া এবং স্বাদ ও গন্ধে গরুর মাংসের কাছাকাছি হওয়ায় এটি ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তবে অভিযোগ রয়েছে, কিছু হোটেল ও রেস্টুরেন্টে এটি গরুর মাংস হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে।
প্রথমদিকে প্রতি সপ্তাহে ১-২টি ঘোড়া জবাই করা হলেও বর্তমানে প্রতি শুক্রবার ১০-১২টি ঘোড়া জবাই করা হচ্ছে। বিক্রেতারা জানান, কম দামে ঘোড়া কেনার সুযোগ থাকায় তারা কম মূল্যে মাংস বিক্রি করতে পারছেন। স্থানীয়রা তেমন আগ্রহী না হলেও অনলাইনে এর চাহিদা বাড়ছে।
গাজীপুরে ঘোড়ার মাংস বিক্রি করছেন শফিকুল ইসলাম ও নূরুল্লাহ মামুন নামে দুই ব্যবসায়ী। শফিকুল ইসলাম বলেন, “গরুর মাংসে চর্বি থাকে, কিন্তু ঘোড়ার মাংস চর্বিহীন। এটি গরুর মাংসের চেয়ে সুস্বাদু, আর খাওয়ার পর হাত ধোয়ার সময় সাবান লাগেও না।”
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ব্যবসায়ীরা সাধারণত অসুস্থ বা কর্মক্ষমতা হারানো ঘোড়া ৩-৪ হাজার টাকায় কিনে আনেন এবং জবাইয়ের পর সেটি ৩০-৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।
এদিকে, কিছু হোটেল ও রেস্টুরেন্টে গরুর মাংসের সঙ্গে ঘোড়ার মাংস মিশিয়ে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় এক ইসলামি চিন্তাবিদ বলেন, “ঘোড়ার মাংস ইসলামসম্মত। আমাদের দেশে প্রচলিত না থাকলেও মধ্যপ্রাচ্যে অনেকে এটি খেয়ে থাকেন।”
গাজীপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি কামরুল ইসলাম নোমানী বলেন, “হাদিস অনুযায়ী ঘোড়ার মাংস হালাল, তবে আমাদের দেশে এটি সাধারণত কেউ খায় না। তবে যে কেউ চাইলে খেতে পারে।”
গাজীপুর সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. হারুনুর রশিদ জানান, “হায়দারাবাদে ঘোড়া জবাই হচ্ছে বলে শুনেছি। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী পশু জবাইয়ের আগে আমাদের কাছ থেকে ভেটেরিনারি সার্টিফিকেট নেওয়া বাধ্যতামূলক। তবে এখন পর্যন্ত ঘোড়া জবাইয়ের জন্য কোনো সার্টিফিকেট নেওয়া হয়নি।”