গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর চলমান গণহত্যা, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি এবং জাতিবিদ্বেষের বিষয়টি সকলের সামনে তুলে ধরেন ফিদান। ওআইসি সদস্যভুক্ত সকল দেশের সমর্থিত একটি গঠনমূলক কাঠামোর মাধ্যমে এসব সমস্যার সমাধানের জরুরি প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘মিশরের গাজা পরিকল্পনা একটি গঠনমূলক কাঠামো প্রদান করে। এটি ওআইসির সকল সদস্যের দ্বারা সমর্থিত একটি পরিকল্পনা।’
বৈঠক চলাকালীন ইসরায়েলের অব্যাহত বিমান হামলার সমালোচনা করেন তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গাজায় পুনরায় হামলা শুরুকে ইসরায়েলের ব্যাপক সম্প্রসারণবাদী এজেন্ডার প্রমাণ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘গাজায় মানবিক সাহায্য সরবরাহে বাধা দেওয়া এবং সিরিয়া ও লেবাননের ভূখণ্ডকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা ইসরায়েলের সম্প্রসারণবাদী নীতির ইঙ্গিত দেয়। ইসরায়েলকে থামানো ছাড়া এই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।’
তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হওয়া উচিত গাজায় ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধ করা এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতি অর্জন। এজন্য ইসরায়েলের ওপর চাপ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। জাতিসংঘের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোকে তাৎক্ষণিক ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য ব্যবহার করা উচিত।’
উল্লেখ্য, ৪ মার্চ কায়রোতে এক জরুরি আরব শীর্ষ সম্মেলনে ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত না করে গাজা উপত্যকা পুনর্নির্মাণের জন্য মিশরের ৫৩ বিলিয়ন ডলারের একটি পরিকল্পনা গৃহীত হয়। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা দখল করে ‘মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরা’ হিসেবে গড়ে তোলার এবং গাজাবাসীকে আরব দেশগুলোতে, বিশেষ করে মিশর ও জর্ডানে স্থানান্তরের যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন তা আরব বিশ্বসহ অনেক দেশ প্রত্যাখ্যান করে।