শিরোনাম:

আবার ক্ষমতা পাবো তথন কোথায় যাবে

দুই সন্তান হত্যার দায় স্বীকার করলেন মা

রাশিয়ার হুঁশিয়ারি: টরাস ক্ষেপণাস্ত্র দিলে সরাসরি ইউক্রেন-যুদ্ধে জড়াবে জার্মানি

১০ লাখ টাকার চেক সঙ্গে সোনার মেডেল, ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে প্রিয় শিক্ষককে বিদায়

চার মাসের সন্তানকে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করে মোবাইল কিনলেন মা

ঈদের দিনেই ৪ জনকে কু*পিয়ে জখম, একজনকে জ*বাই করার চেষ্টা, অতঃপর…

ডেইলি রিপোর্টঃ
প্রকাশিত : মার্চ ৩১, ২০২৫

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্য দিবালোকে নরসিংদীতে চার জনকে কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। এদের মধ্যে এক জনকে গলা কেটে জবাই করার চেষ্টা করে সন্ত্রাসীরা। স্থানীয়রা এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। সোমবার (৩১ মার্চ) দুপুরে নরসিংদী পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র হেমেন্দ্র সাহার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে আহতদের সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকৎসা শেষে মুমূর্ষু অবস্থায় চার জনকেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ওই সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে একজনের কাটা আঙ্গুল উদ্ধার করে।

আহতরা হলেন- শহরের বানিয়ারসল এলাকার অটোচালক রমজান মিয়া, তার ছেলে রিফাত, মুহিম ও সাঠিরপাড়া এলাকার ফয়সাল। এদের মধ্যে ফয়সালের গলা কেটে জবাই করার চেষ্টা করে সন্ত্রাসীরা। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎস

আহত রিফাত জানিয়েছেন, আজ অটোরিকশায় তিনি আর তার বাবা রমজান মিয়া যাত্রী নিয়ে বাসস্ট্যান্ড যাচ্ছিলেন। রিকশাটি হেমেন্দ্র সাহার মোড়ে পৌঁছালে একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে তাদের অটোর ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে মোটরসাইকেল আরোহীর সঙ্গে রমজান মিয়ার কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মোটোরসাইকেল চালক ও অটোচালকের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে মোটোরসাইকেল চালক ফোন করে সন্ত্রাসীদের নিয়ে আসে। সন্ত্রাসীরা এসেই দা ছুরি চাপাতি দিয়ে এলোপাথাড়ি অটোচালককে কোপাতে থাকে। ওই সময় তাদের বাঁচাতে স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা তাদেরকেও কুপিয়ে জখম করে। উপর্যুপরি অস্ত্রের আঘাতে চারজন জখম হলে তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদের মধ্যে ফয়সাল নামে একজনের গলা কেটে ফেলে সন্ত্রাসীরা।

সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. অসিম কুমার সাহা জানিয়েছেন, শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কাটাসহ মাল্টিপল ইনজুরি নিয়ে চারজন হাসপাতালে এসেছে। এর মধ্যে ফয়সাল নামে এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার গলা কাটা ও বড় ক্ষত রয়েছে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চার জনকেই ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

সদর মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো. এমদাদ হোসেন জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। কারা এই ঘটনা সঙ্গে জড়িত তাদের শনাক্তের কাজ শুরু করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী সংবাদ পরবর্তী সংবাদ
সর্বশেষ সংবাদ
  • সর্বাধিক পঠিত