শিরোনাম:

আবার ক্ষমতা পাবো তথন কোথায় যাবে

দুই সন্তান হত্যার দায় স্বীকার করলেন মা

রাশিয়ার হুঁশিয়ারি: টরাস ক্ষেপণাস্ত্র দিলে সরাসরি ইউক্রেন-যুদ্ধে জড়াবে জার্মানি

১০ লাখ টাকার চেক সঙ্গে সোনার মেডেল, ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে প্রিয় শিক্ষককে বিদায়

চার মাসের সন্তানকে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করে মোবাইল কিনলেন মা

কলকাতা-চেন্নাই ও আহমেদাবাদে ব্যাপক বিক্ষোভ, নেপথ্যে যে কারণ

ডেইলি রিপোর্টঃ
প্রকাশিত : এপ্রিল ৪, ২০২৫

পবিত্র জুমার নামাজের পর ভারতের কলকাতা, চেন্নাই এবং আহমেদাবাদে হাজারো মুসল্লি বিক্ষোভে নেমেছে। চলতি সপ্তাহে ভারতের পার্লামেন্টে পাস হওয়া ওয়াকফ সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে তারা এ বিক্ষোভ করেন। খবর এনডিটিভি

পশ্চিমবঙ্গে রাজধানী কলকাতায় বিক্ষোভে নামা মুসল্লিরা ভারতের জাতীয় পতাকা এবং ‘আমরা ওয়াকফ সংশোধনী বিল প্রত্যাখ্যান করছি’, ‘ওয়াকফ বিল মানব না’ লেখা সম্বলিত পোস্টার হাতে নিয়ে রাস্তায় বিক্ষোভ করেন।

ভারতীয় নিউজ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, ওয়াকফ সুরক্ষা জয়েন ফোরাম এই বিক্ষোভের আয়োজন করেছে।

আহমেদাবাদে বিক্ষোভে নামা ব্যক্তিদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ। এএনআইয়ের শেয়ার করা এক ভিডিওতে এমন চিত্র দেখা গেছে। একই চিত্র দেখা গেছে চেন্নাইতে। যেখানে মুসলিমদের পক্ষে বিক্ষোভে নেমেছেন অভিনেতা থালাপতি বিজয়ের রাজনৈতিক দল তামিলাগা ভেত্রি কাজাগামের কর্মীরা। চেন্নাইসহ বড় শহর বিশেষ করে- কোয়েম্বাটোর এবং তিরুচিরাপল্লীতে জড়ো হয়ে ওয়াকফ বিল প্রত্যাহারের আহ্বান জানান এবং বলেন, মুসলিমদের অধিকার কেড়ে নেয়া উচিত নয়।

তামিল এই অভিনেতা ও রাজনীতিবিদকে আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ডার্ক হর্স হিসেবে দেখা যাচ্ছে। ওয়াকফ বিল সংশোধনীকে তিনি গণতন্ত্র বিরোধী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন এবং বলেছেন, এটি পাসের মাধ্যমে ভারত যে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

এ ধরনের বিক্ষোভ আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনে নতুন করে আগুনের স্ফুলিঙ্গ তৈরি করবে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ইতোমধ্যে বলেছেন, তিনি তার রাজ্য মুসলিমদের জমি হারাতে দেবেন না।

মমতা ব্যানার্জি বলেন, বিজেপি দেশকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছে। বিরোধী দল কংগ্রেসও এ ধরনের অভিযোগ করেছে। মমতা আরও বলেন, বিজেপি ক্ষমতা হারালে এই বিল বাতিল করা হবে।

বুধবার লোকসভায় বিলটি ২৮৮-২৩২ ভোটে পাস হয়। নিম্নকক্ষে পাস হওয়ায় এটি এখন রাজ্যসভায় যাবে। সেখানে পাস হলে যাবে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে। তিনি স্বাক্ষর করলে সেটি আইনে পরিণত হবে।

পূর্ববর্তী সংবাদ পরবর্তী সংবাদ
সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত