শিরোনাম:

রাশিয়ার হুঁশিয়ারি: টরাস ক্ষেপণাস্ত্র দিলে সরাসরি ইউক্রেন-যুদ্ধে জড়াবে জার্মানি

১০ লাখ টাকার চেক সঙ্গে সোনার মেডেল, ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে প্রিয় শিক্ষককে বিদায়

চার মাসের সন্তানকে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করে মোবাইল কিনলেন মা

ভারতে মুসলিমদের ‘নিরাপত্তা’ নিশ্চিতে ঢাকার আহ্বানে যা বলল দিল্লি

নির্বাচনের আগে জামায়াত আমিরের তিন শর্ত

তিস্তার পানিতে বাংলাদেশ নিয়ে ভারতকে ডোবাবে চীন

ডেইলি রিপোর্টঃ
প্রকাশিত : এপ্রিল ৬, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: তিস্তার পাড়ের মানুষের দীর্ঘকালীন কষ্ট আজও মূল্যায়িত হয়নি ভারতের কাছে, বরং বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তারা শুধু ধোঁকা দিয়েছে। প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ এবার তিস্তাপাড়ের মানুষের দুঃখ ঘোচাতে দৃঢ় মনোভাব নিয়ে কাজ শুরু করেছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস, যিনি এই বিষয়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন, তার সহায়তা করতে পারে চীন, বিশেষ করে শি জিনপিংয়ের সরকার।

তিস্তা নদীকে কেন্দ্র করে উত্তরবঙ্গের মানুষের অনেকদিনের সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশ চীনের সহযোগিতা নিয়ে একটি মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে। এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে, প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুস চীন সফর করেছেন এবং সেখানে শি জিনপিংয়ের সরকারের কাছ থেকে আগ্রহ দেখানো হয়েছে। চীনের রংপুর অঞ্চলের কাছাকাছি সম্ভাব্য উপস্থিতি নিয়ে এখন ভারত সরকারের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে তিস্তার পানির বন্টন নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ চলে আসছে। সিক্কিম থেকে উৎপন্ন হয়ে পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে এই নদী বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের ২ কোটি মানুষের জন্য জীবনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তবে ভারত বাঁধ নির্মাণ করে নদীর পানি আটকে রেখে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করছে, যার ফলে বাংলাদেশের কৃষি সেচে সংকট দেখা দিয়েছে। তিস্তার পানি সঠিক সময়ে না পাওয়ার কারণে বাংলাদেশের কৃষকরা বড় ক্ষতির সম্মুখীন হয়। আবার বর্ষা মৌসুমে অতিরিক্ত পানি ছাড়ায় নদী থেকে মানুষজনের জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এই সমস্যাগুলি সমাধানে বাংলাদেশের সরকার দীর্ঘদিন ধরে একটি বড় পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। চীন এই প্রকল্পে আগ্রহ দেখানোর ফলে তা বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে, যদিও বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ভারতের বিরোধিতার কারণে তা সঠিকভাবে এগোতে পারেনি। বর্তমানে, নরেন্দ্র মোদির সরকার তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে নানা অজুহাত দেখানোর চেষ্টা করছে।

চীনের সাথে আলোচনা ও সহযোগিতা বাড়ানোর ফলে তিস্তা নদীকে ঘিরে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। শি জিনপিংয়ের নেতৃত্বাধীন চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে, যেখানে তিস্তা নদীর উপকূল ব্যবস্থাপনা, অবকাঠামো নির্মাণ, বন্যা নিয়ন্ত্রণ এবং গ্রীষ্মকালে পানি সংকট সমাধানের জন্য বিভিন্ন প্রকল্পের পরিকল্পনা হয়েছে।

এবার ভারতের একচেটিয়া সুবিধা শেষ হয়ে যেতে পারে, আর তিস্তা প্রকল্প চীনের হাতে চলে গেলে ভারতের অবস্থা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। চীনের সম্ভাব্য উপস্থিতি নিয়ে রংপুর অঞ্চলে উদ্বেগ বাড়িয়ে ভারতের সরকার এখন অস্থির। একদিকে ভারতের পর্যটন, চিকিৎসা এবং অন্যান্য খাতে বাংলাদেশের লোকেরা বাড়তি সুবিধা পেয়ে ফেলেছে, অন্যদিকে তিস্তা প্রকল্পে চীনের ভূমিকা ভারতে শঙ্কার সৃষ্টি করেছে।

পূর্ববর্তী সংবাদ পরবর্তী সংবাদ
সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত