শিরোনাম:

১০ লাখ টাকার চেক সঙ্গে সোনার মেডেল, ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে প্রিয় শিক্ষককে বিদায়

চার মাসের সন্তানকে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করে মোবাইল কিনলেন মা

ভারতে মুসলিমদের ‘নিরাপত্তা’ নিশ্চিতে ঢাকার আহ্বানে যা বলল দিল্লি

নির্বাচনের আগে জামায়াত আমিরের তিন শর্ত

ইচ্ছা আছিলো পড়ালেহা করে মায়ের কষ্ট দূর করমু

হাদিসের বর্ণনায় যে দলটি ফিলিস্তিন জয় করবে

ডেইলি রিপোর্টঃ
প্রকাশিত : এপ্রিল ৭, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: ফিলিস্তিনের মসজিদুল আকসা মুসলমানদের জন্য এক অত্যন্ত পবিত্র স্থান। এর প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং সম্মান রক্ষা করা মুসলমানদের ঈমানী দায়িত্ব। মুসা আলাইহিস সালামের জবানিতে মসজিদুল আকসা ও তার আশপাশের অঞ্চলকে “পবিত্র ভূমি” হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। পবিত্র কোরআনের সূরা মায়েদার ২১ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, “হে আমার সম্প্রদায়, আল্লাহ তোমাদের জন্য যে পবিত্র ভূমি নির্ধারণ করেছেন, তাতে প্রবেশ করো এবং পিছনে ফিরে যেও না, অন্যথায় তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”

ফিলিস্তিন এতটাই পবিত্র যে, আল্লাহ তাআলা একে ইসরা ও মেরাজের ভূমি বানিয়েছেন। ফিলিস্তিনের বায়তুল মুকাদ্দাস থেকেই নবীজির মেরাজের শুরু হয়েছিল। সূরা বনী ইসরাইলের প্রথম আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, “পবিত্র ও মহিমাময় তিনি, যিনি তার বান্দাকে রাতে ভ্রমণ করিয়েছেন আল মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত, যার পরিবেশ আমি করেছিলাম বরকতময়, তাকে আমার নিদর্শন দেখানোর জন্য।”

এখানে আল্লাহ স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, যে ভূমি, অর্থাৎ ফিলিস্তিন, তা একটি বরকতময় ভূমি, যা একদিন সত্যের পক্ষের বিজয়ী দলের অধিকারী হবে।

ফিলিস্তিন ও বায়তুল মুকাদ্দাস সম্পর্কে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাম) বলেছেন, ফিলিস্তিন হবে বিজয়ীদের ভূমি। অর্থাৎ, ইহুদিদের নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ একদিন শেষ হবে। মুসলমানদের একটি দল তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়লাভ করবে।

হযরত আবু উমামা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বলেন, “আমার উম্মতের একটি দল সত্যের ওপর বিজয়ী থাকবে, শত্রুদের বিরুদ্ধে তারা পরাক্রমশালী থাকবে। দুর্ভিক্ষ ছাড়া তাদের বিরোধী পক্ষ তাদের কিছুই করতে পারবে না। আল্লাহর আদেশে, কিয়ামত পর্যন্ত তারা এভাবেই থাকবে।” সাহাবীরা জিজ্ঞেস করলেন, “হে আল্লাহর রাসূল, তারা কোথায় থাকবে?” রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বলেন, “তারা বায়তুল মুকাদ্দাস এবং তার আশেপাশে থাকবে।”

সহীহ মুসলিমের তৃতীয় খন্ডের ২৮৯৬ নম্বর হাদিসে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে হারিস রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাম বলেন, “পূর্বদিক, অর্থাৎ খোরাশান থেকে কিছু লোক বের হয়ে আসবে, যারা ইমাম মাহাদীর খেলাফত প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করবে এবং খেলাফত প্রতিষ্ঠা সহজ করে দেবে।” এর মানে, কিয়ামতের আগে ফিলিস্তিন থেকে অবৈধ দখলদারী শেষ হবে এবং মুসলমানদের বিজয় আসবে।

আরেকটি হাদিসে, আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বলেছেন, “কিয়ামত সংঘটিত হবে না, যতক্ষণ না মুসলমানরা ইহুদি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে লড়াই না করবে। মুসলমানরা তাদের হত্যা করবে, ফলে তারা পাথর বা বৃক্ষের আড়ালে আত্মগোপন করবে। তখন পাথর বা গাছ বলবে, ‘হে আল্লাহর বান্দা, এখানে এক ইহুদি রয়েছে, আসো তাকে হত্যা করো।’”

অতএব, আল্লাহ তাআলা মসজিদুল আকসাকে দাজ্জালের হাত থেকে রক্ষা করবেন। হাদিসে এসেছে, দাজ্জাল পৃথিবীতে ৪০ দিন অবস্থান করবে, তার রাজত্ব সর্বত্র বিস্তার লাভ করবে। তবে চারটি মসজিদ তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকবে: কাবা মসজিদ, মসজিদুল আকসা, মসজিদে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাম) এবং মসজিদে তুর।

এখানে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে যে, ফিলিস্তিন তথা মসজিদুল আকসা একদিন বিজয়ী মুসলিমদের অধীনে হবে এবং তার পবিত্রতা চিরকাল অক্ষুণ্ণ থাকবে।

পূর্ববর্তী সংবাদ পরবর্তী সংবাদ
সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত