শিরোনাম:

ভারতে মুসলিমদের ‘নিরাপত্তা’ নিশ্চিতে ঢাকার আহ্বানে যা বলল দিল্লি

নির্বাচনের আগে জামায়াত আমিরের তিন শর্ত

ইচ্ছা আছিলো পড়ালেহা করে মায়ের কষ্ট দূর করমু

১১০ কেজি ওজনের কই ভোলা মাছ

ওয়াজ মাহফিলে না গিয়েও নেন টাকা, বক্তার বিরুদ্ধে মামলা

জামায়াত আমিরের করমর্দন, ছবি ভাইরাল

ডেইলি রিপোর্টঃ
প্রকাশিত : এপ্রিল ৮, ২০২৫
জামায়াত আমিরের করমর্দন, ছবি ভাইরাল

কেরামত আলীকে ওখান দিয়ে কারাগারের নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কাজী কেরামত আলী আমাকে দেখে হাত বাড়িয়ে দেন। আমিও সৌজন্যতার খাতিরে হাত মেলাই। বিষয়টি হঠাৎ করেই ঘটে গেছে এবং একারাজবাড়ী-১ আসনের (সদর ও গোয়ালন্দ) সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলীকে কারাগারে নেওয়ার পথে আদালত প্রাঙ্গণে তার সঙ্গে করমর্দন করেন জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট মো. নুরুল ইসলাম।

এ সময় গণমাধ্যম কর্মী ও উৎসুক জনতা ছবি তোলেন। পরবর্তীতে এ সংক্রান্ত কয়েকটি ছবি একাধিক গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

এ বিষয়ে রাজবাড়ী জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট মো. নুরুল ইসলাম জানান, তিনি একটি মামলার কাজে আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত ছিলেন। সেই সময় সাবেক এমপি কাজী ন্তই ব্যক্তিগত। এটাকে অন্য কোনোভাবে নেওয়া ঠিক হবে না।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে কাজী কেরামত আলীকে রাজবাড়ী সদর আমলি আদালতের বিচারক, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. তামজিদ আহমেদ কাজীর আদালতে তোলা হয়। এ সময় আসামি পক্ষের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। তবে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

রাজবাড়ী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, রাজবাড়ীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় গত ৩০ আগস্ট কাজী কেরামত আলীসহ ১৭০ জনের নাম উল্লেখ করে রাজবাড়ী সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন রাজিব মোল্লা নামে এক শিক্ষার্থী। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৩০০ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় রোববার রাতে তাকে রাজধানীর মহাখালী এলাকা থেকে গ্রেফতার করে ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল।

এদিকে কারাগারে নেওয়ার পথে আদালত প্রাঙ্গণে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক এমপি কাজী কেরামত আলীর সঙ্গে জামায়াত নেতা অ্যাডভোকেট মো. নুরুল ইসলামের সৌহার্দপূর্ণ করমর্দনের একাধিক ছবি ভাইরাল হলে নেটিজেনরা ইতিবাচক ও নেতিবাচক বিভিন্ন মন্তব্য করেন।

অনেকেই বলেন, বিগত ১৭ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেও জামায়াতের একজন শীর্ষ নেতা হিসেবে অ্যাডভোকেট মো. নুরুল ইসলামের আইন পেশা পরিচালনাসহ কোনো ক্ষেত্রেই তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। তিনি স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পেরেছেন। সেই কৃতজ্ঞতা হতেই তিনি হয়তো তার দুঃসময়ে ন্যূনতম সৌজন্যতা দেখিয়েছেন। এটাকে খারাপভাবে নেওয়ার কিছু নেই। তবে অনেকেই এটা নিয়ে বিভিন্ন নেতিবাচক মন্তব্যও করেছেন।

পূর্ববর্তী সংবাদ পরবর্তী সংবাদ
সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত