নিজস্ব প্রতিবেদক: বাটা কোম্পানির সাথে ইসরায়েলের সম্পর্ক নিয়ে কিছু বিভ্রান্তি থাকতে পারে, তবে ইতিহাসে বাটার প্রতিষ্ঠাতা চার্লস বাটার এবং তার কোম্পানি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যবসা পরিচালনা করেছে। বিশেষত, বাটা কোম্পানির সাথে ইসরায়েলের সম্পর্ক সরাসরি কোনো বড় বিষয় নয়। তবে, বাটার কোম্পানির ব্যবসায়িক সম্প্রসারণের সময় বিভিন্ন দেশে তার শাখা এবং শোরুম স্থাপন করা হয়েছে, এবং ইসরায়েলও এর মধ্যে একটি।
প্রকৃতপক্ষে, বাটা কোম্পানি আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে অনেক দেশের সাথে কাজ করেছে, এবং ইসরায়েলেও এটি একটি জনপ্রিয় ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিত। তবে, বাটার কোম্পানি ইসরায়েলের প্রতি কোনো রাজনৈতিক সমর্থন বা বিরোধ প্রকাশ করেনি। তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম মূলত পণ্য উৎপাদন ও বিক্রি সম্পর্কিত, এবং তাদের ব্র্যান্ডের প্রতি কোনো দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রভাব পড়ার তেমন কোনো ঘটনা জানা যায় না।
এছাড়া, বাটা কোম্পানি বহু বছর ধরে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে এবং তার ব্যবসায়িক কৌশল একেবারে আন্তর্জাতিক বাজারের দিকে নজর দিয়েছে, যেখানে ইসরায়েলও একটি অংশ।
বাটা একটি আন্তর্জাতিক শু-ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি, যার মূল সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডে অবস্থিত। তবে, এর প্রতিষ্ঠা হয় চেক প্রজাতন্ত্রে (তৎকালীন চেকোস্লোভাকিয়া) ১৮৯৪ সালে। বাটার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন চার্লস বাটা। বর্তমানে, এই কোম্পানি বিশ্বের প্রায় ৭০টি দেশে তাদের শোরুম এবং দোকান পরিচালনা করছে, যার মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে।
সম্প্রতি, বাংলাদেশে বাটার একটি শোরুমে হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলার পর, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। বাটার শোরুমে হামলার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়, তবে এটি স্থানীয় দোকানদারদের সঙ্গে কোনো ব্যবসায়িক বিরোধের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাটা একটি বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড হিসেবে বাংলাদেশে তার খ্যাতি অর্জন করেছে এবং এখানকার বাজারে তাদের ব্যবসা অনেক শক্তিশালী। এই হামলার ঘটনা কোম্পানির সুনাম এবং নিরাপত্তার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে