নিজস্ব প্রতিবেদক: দুদক (দুর্নীতি দমন কমিশন) কার্যালয়ে আসার কারণ ব্যাখ্যা করে সারজিস ও হাসনাত বলেন, তারা কিছু গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ নিয়ে এসেছেন। তাদের কাছে কিছু তথ্য এসেছে, যা ব্যক্তিগত বা সীমিত পর্যায়ের নয়, বরং বড় ধরনের কিছু বিষয় নিয়ে।
সারজিস বলেন, “আমরা কিছু অভিযোগ নিয়ে এসেছি। যদিও এসব এখনো কনফিডেনশিয়াল, তবে শিগগিরই মিডিয়ার মাধ্যমে জানানো হবে।” তিনি আরও যোগ করেন, “আমরা যা জানাচ্ছি তা বিভিন্ন সেক্টরের সম্পর্কিত, কিন্তু আমরা এখনো এটা প্রকাশ করতে পারছি না।”
হাসনাত জানান, তারা দুদকের কার্যক্রম নিয়ে সন্তুষ্ট নন, তবে নতুন চেয়ারম্যানের সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা রয়েছে। “এটি আমাদের দ্বিতীয়বারের মতো দুদকে আসা। অভিযোগগুলো রিসিভ হচ্ছে, তবে এখনও কোনো ফিডব্যাক পাওয়া যায়নি,” বলেন হাসনাত।
তারা জানান, দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারা দীর্ঘদিন ধরে সংগ্রাম করছেন, বিশেষত আওয়ামী লীগের অনেক এমপি ও মন্ত্রীর বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। “বিগত সময়ে অনেক বড় অভিযোগ উঠেছে, এবং দুদককে সেই জায়গায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে,” বলেন তারা।
“আমরা চাই, দুদক তার কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা করুক। বিশেষ করে, আমরা নতুন চেয়ারম্যান সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা পেয়েছি, কিন্তু কাজের মাধ্যমে সেটি দেখতে চাই,” যোগ করেন তারা।
তারা আরও বলেন, “আমাদের কাছে কিছু তথ্য এসেছে, যেগুলো আমরা হাসনাতের মাধ্যমে দুদকে প্রদান করেছি। আমাদের লক্ষ্য ছিল, কোনো সৎ ব্যক্তিকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলানো বা কোনো দুর্নীতিবাজের পক্ষে সুবিধা দেয়া না।”
এছাড়া, তারা বলেন, “এটা কোন ব্যক্তিগত বা সীমিত অভিযোগ নয়, বরং এটি বড় ধরনের একটি বিষয়, যেখানে প্রতিষ্ঠানের বা বড় আঞ্চলিক বিষয়গুলোর মধ্যে সম্পর্কিত তথ্য রয়েছে।”
অবশেষে, তারা ধন্যবাদ জানিয়ে তাদের বক্তব্য শেষ করেন, এবং এসব তথ্যের মাধ্যমে তারা দুদককে সঠিকভাবে কাজ করার আশা প্রকাশ করেন।