শিরোনাম:

রাশিয়ার হুঁশিয়ারি: টরাস ক্ষেপণাস্ত্র দিলে সরাসরি ইউক্রেন-যুদ্ধে জড়াবে জার্মানি

১০ লাখ টাকার চেক সঙ্গে সোনার মেডেল, ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে প্রিয় শিক্ষককে বিদায়

চার মাসের সন্তানকে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করে মোবাইল কিনলেন মা

ভারতে মুসলিমদের ‘নিরাপত্তা’ নিশ্চিতে ঢাকার আহ্বানে যা বলল দিল্লি

নির্বাচনের আগে জামায়াত আমিরের তিন শর্ত

শ’ঙ্কা’র পরেই ফের ভূমিক’ম্প, উচ্চ ঝুঁ’কিতে যে ৪ জেলা

ডেইলি রিপোর্টঃ
প্রকাশিত : এপ্রিল ১২, ২০২৫

আবারো রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকাল ৪টা ৫৫ মিনিটে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

ভূমিকম্প নিয়ে অনেককে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিতে দেখা যায়।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ গোলাম মোস্তফা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল চার।

তিনি আরও জানান, এর উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ১০৫ কিলোমিটার দূরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশপাশে ছিল। তারা বিষয়টি নিয়ে এখনও কাজ করছেন।

এদিকে শুক্রবার সকালে মিয়ানমারে ফের ভূমিকম্প আঘাত হানে। এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৪ দশমিক ১। দেশটির জাতীয় ভূকম্পন কেন্দ্র (এনসিএস) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

এনসিএস বলছে, ভূমিকম্পটি ১০ কিলোমিটার গভীরে আঘাত হানে। যার ফলে আফটারশকের আশঙ্কা দেখা দেয়।

এর আগে,মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের মতো বাংলাদেশেও একই ধরনের বড় ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরক। বিশেষ করে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ অঞ্চল ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকির মুখে রয়েছে।

মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে গতকাল শুক্রবারের শক্তিশালী ভূমিকম্পে ব্যাপক হতাহতের পর আজ শনিবার সকালে ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সতর্কবার্তা দেয়।

বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিকভাবে ভূমিকম্প-প্রবণ অঞ্চলে অবস্থিত। দেশটি তিনটি প্রধান টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে রয়েছে: ইউরেশিয়ান প্লেট, ইন্ডিয়ান প্লেট ও বার্মা মাইক্রোপ্লেট। এ প্লেটগুলোর সংঘর্ষ ও সঞ্চিত ভূতাত্ত্বিক চাপের কারণে বাংলাদেশে মাঝারি থেকে বড় মাত্রার ভূমিকম্পের সম্ভাবনা রয়েছে। চলতি বছর জানুয়ারি মাসে প্রথম সপ্তাহে তিনটি ভূমিকম্প হয়েছে বাংলাদেশ। ২০২৪ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত ৬০টি ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছে এ অঞ্চলে। এই ছোট ছোট ভূকম্পন কি আমাদের কোনো সতর্কবার্তা দিচ্ছে? বড় কোনো ভূকম্পন কি ঘটতে যাচ্ছে বাংলাদেশে?

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় যদি ৬.৯ মাত্রার ভূমিকম্প হয়, তাহলে ৮ লাখ ৬৪ হাজার ভবন ধসে পড়বে। যা শতকরা হিসেবে মোট বিল্ডিংয়ের ৪০%। এ ভূমিকম্প যদি দিনের বেলায় হয়, তাহলে ২ লাখ ১০ হাজার মানুষের মৃত্যু হবে। ভূমিকম্পটি যদি রাতের বেলায় হয়, তাহলে ৩ লাখ ২০ হাজার মানুষের মৃত্যু হবে। এ তথ্য উঠে এসেছে ২০২৩ সালে রাজুকের গবেষণায়। বর্তমানে বিশেষজ্ঞদের মতে ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ৭.৫-৮ মাত্রার ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে।

উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা: সিলেট, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান।
মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা: ঢাকা, কুমিল্লা, ফরিদপুর।

কম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা: খুলনা, বরিশাল।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রামে ৭.৫ বা তার বেশি মাত্রার ভূমিকম্প হলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

বাংলাদেশে ভূমিকম্পের ঘটনা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মাত্রায় রেকর্ড করা হয়েছে। ২০০১ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ১৭ বছরে মোট ৫৯০টি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে, যা বছরে গড়ে প্রায় ৩৫টি ভূমিকম্পের সমান। এই গড় অনুসারে, গত ৮ বছরে (২০১৭ থেকে ২০২৫) ২৮০টি ভূমিকম্প হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান পেতে আবহাওয়া অধিদপ্তর বা ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের সর্বশেষ তথ্য পর্যালোচনা করা উচিত। বাংলাদেশে বছরে গড়ে ৩৫টি মৃদু ভূমিকম্প (সাধারণত ৪.০ বা তার কম মাত্রার) বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ভূতাত্ত্বিক এবং ভূমিকম্প সংক্রান্ত ইঙ্গিত বহন করে।

পূর্ববর্তী সংবাদ পরবর্তী সংবাদ
সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত