নিজস্ব প্রতিবেদক: রাশিয়ার একটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনে অবস্থিত ভারতীয় ওষুধ কোম্পানি ‘কুসুম ফার্মাসিউটিক্যালস’-এর একটি গুদাম ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করেছে কিয়েভ।
শনিবার (১২ এপ্রিল), ভারতে অবস্থিত ইউক্রেনীয় দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানায়, রাশিয়া ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ ইউক্রেনে ভারতীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে। তারা অভিযোগ করে, এই হামলায় শিশু ও প্রবীণদের জন্য সংরক্ষিত বিপুল পরিমাণ ওষুধ পুড়ে গেছে।
দূতাবাসের বিবৃতিতে বলা হয়, “যদিও রাশিয়া ভারতের সঙ্গে ‘বিশেষ বন্ধুত্বের’ দাবি করে, বাস্তবে তারা সেই সম্পর্ককে তোয়াক্কা না করে ইচ্ছাকৃতভাবে ভারতীয় কোম্পানিগুলোকে লক্ষ্য করছে।”
ইউক্রেনে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত মার্টিন হ্যারিস এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া পোস্টে জানান, এই হামলাটি মূলত রাশিয়ান ড্রোনের মাধ্যমে চালানো হয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র নয়। তার ভাষায়, “আজ সকালে একটি রাশিয়ান ড্রোন কিয়েভে একটি বৃহৎ ওষুধের গুদাম সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিয়েছে। এতে শিশু ও প্রবীণদের জন্য সংরক্ষিত প্রয়োজনীয় ওষুধ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।”
তিনি এটিকে ইউক্রেনীয় বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে রাশিয়ার চলমান “সন্ত্রাসী অভিযান” বলে অভিহিত করেন।
অন্যদিকে, কূটনৈতিক অঙ্গনেও যুদ্ধ থামাতে চলছে আলোচনা। তুরস্কের আন্তালিয়ায় অনুষ্ঠিত কূটনৈতিক ফোরামে ইউক্রেনের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রেই সিবিহা স্পষ্ট করে বলেন, “যুদ্ধবিরতির আলোচনায় ন্যাটো সদস্যপদের সম্ভাবনা কোনোভাবেই বাদ দেওয়া যাবে না।”
এই বক্তব্যের জবাবে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, “এই যুদ্ধের মূল কারণই ছিল ইউক্রেনকে ন্যাটোতে অন্তর্ভুক্ত করার প্রচেষ্টা।” তিনি আরও দাবি করেন, “এই ভুল প্রথম ধরেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।”
এর মধ্যেই হোয়াইট হাউস ঘোষণা দিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন রাশিয়ার ওপর আগের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও এক বছর বাড়িয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ট্রাম্প এর আগে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন— যদি রাশিয়া পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হয়, তাহলে আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।