শিরোনাম:

আবার ক্ষমতা পাবো তথন কোথায় যাবে

দুই সন্তান হত্যার দায় স্বীকার করলেন মা

রাশিয়ার হুঁশিয়ারি: টরাস ক্ষেপণাস্ত্র দিলে সরাসরি ইউক্রেন-যুদ্ধে জড়াবে জার্মানি

১০ লাখ টাকার চেক সঙ্গে সোনার মেডেল, ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে প্রিয় শিক্ষককে বিদায়

চার মাসের সন্তানকে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করে মোবাইল কিনলেন মা

সালিসে না আসায় বাড়িতে গিয়ে বাবা-ছেলেকে কুপি’য়ে হ’ত্যা

ডেইলি রিপোর্টঃ
প্রকাশিত : এপ্রিল ১৩, ২০২৫

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় সালিসে না আসায় বাবা-ছেলেকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ রবিবার (১৩ এপ্রিল) বেলা একটার দিকে উপজেলার নাওগাঁও পশ্চিম পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ নিহত বাবা–ছেলের মরদেহ উদ্ধারের পাশাপাশি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে।

নিহত দুজন হলেন নাওগাঁও পশ্চিম পাড়া গ্রামের বাসিন্দা আবদুল গফুর (৫০) ও তাঁর ছেলে মেহেদী হাসান (১৫)। জমি নিয়ে প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিরোধ ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে চুরির অপবাদ দিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে পরিবার।

পুলিশ জানায়, আবদুল গফুরের প্রতিবেশী প্রবাসী রাশেদ কিছুদিন আগে দেশে আসেন। দুই দিন আগে তাঁর ঘর থেকে কিছু কাগজ ও একটি মুঠোফোন চুরি হয়। এ ঘটনায় আবদুল গফুরের ছেলে মেহেদী হাসানকে অভিযুক্ত করে আজ বেলা ১১টার দিকে সালিস বসানো হয়। রাশেদের বাড়ির সামনে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য মঞ্জুরুল হকের নেতৃত্বে সালিসটি বসে। কিন্তু চুরির সঙ্গে মেহেদী জড়িত নয় দাবি করে সালিসে যাননি বাবা-ছেলে।

স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে পুলিশ বলছে, সালিস বসার পর সেখান থেকে লোকজন গিয়ে আবদুল গফুরকে তাঁর ছেলেকে নিয়ে হাজির হতে বলেন। কিন্তু সালিসের ডাকে হাজির না হওয়ায় সেখানে থাকা লোকজন আবদুল গফুরের বাড়িতে বেলা একটার দিকে গেলে বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু হয়। এর জেরে আবদুল গফুরের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো শুরু করেন সালিসের লোকজন। এ সময় আবদুল গফুর ও তাঁর ছেলেকে রড দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে ঘটনাস্থলেই হত্যা করা হয়। খবর পেয়ে ফুলবাড়িয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখান থেকে বাবা-ছেলের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়।

এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আটক ব্যক্তিরা হলেন পলাশীহাটা গ্রামের মো. রিপন (৩২), নাওগাঁও গ্রামের মৃত সাবান আলীর ছেলে মো. মোজাম্মেল হক (৬৫) ও এক কিশোর (১৩)।

ফুলবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রোকনুজ্জামান বলেন, নিহত বাবা–ছেলের সঙ্গে প্রতিবেশীর জমি নিয়েও বিরোধ ছিল। জমি নিয়ে বিরোধ ও পূর্বশত্রুতার জেরে চুরির অপবাদ দিয়ে হত্যাকাণ্ডটি ঘটে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহ থানায় রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য সোমবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হবে।

ফুলবাড়িয়া থানায় অবস্থান করা নিহত আবদুল গফুরের স্ত্রী শিল্পী বেগম আজ রাতে বলেন, তাঁর স্বামীর চাচাতো ভাই আবদুল মোতালেবের কাছে সাড়ে ৪৫ শতক জমি পাঁচ বছর আগে বন্ধক দিয়েছিলেন। দুই লাখ টাকা জমি বন্ধক দিলেও তার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় এবং টাকার প্রয়োজন হওয়ায় আরও পাঁচ বছরের জন্য এক লাখ টাকা চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু টাকা ও জমি কিছুই দিতে চাইছিলেন না আবদুল মোতালেব। পরে তাঁর স্বামী অন্য জায়গায় জমি বন্ধক দিতে চাইলে তাতেও বাধা দেন। ওই অবস্থায় স্থানীয়ভাবে সালিসে বসে তিন মাস আগে এক লাখ টাকা দিলেও দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল মোতালেব।

শিল্পী বেগম বলেন, ‘মেহেদী আমার স্বামীর প্রথম পক্ষের ছেলে। সে একটু বখাটেপনা করত। চার-পাঁচ দিন আগে আবদুল মোতালেবের ফিশারি থেকে দুটি তেলাপিয়া মাছ ধরায় ক্ষুব্ধ হয়ে বকাঝকা করে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দেয়। এর মধ্যে প্রতিবেশী বিদেশফেরত একজনের কিছু কাগজ ও মুঠোফোন চুরি হওয়ায় এর অপবাদ দেয় মেহেদীকে। এ নিয়ে সালিস বসালে আমার স্বামী ছেলেকে নিয়ে যায়নি। সে কারণে বাড়িতে এসে হামলা করে হত্যা করে।’

শিল্পী বেগম বলেন, ‘আক্রমণ দেখে আমি পাশের এক ভাশুরের বাড়িতে লুকিয়ে ছিলাম। আমি থাকলে আমাকেও তারা মেরে ফেলত

পূর্ববর্তী সংবাদ পরবর্তী সংবাদ
সর্বশেষ সংবাদ
  • সর্বাধিক পঠিত