রাশিয়ার তৈরি এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার কারণে আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম কিনতে প্রস্তুত তুরস্ক। একইসঙ্গে আঙ্কারাকে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান প্রকল্পে পুনর্বহাল করারও দাবি জানিয়েছে দেশটি।
সম্প্রতি সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান এই প্রস্তাবের কথা জানান। তিনি বলেন, ‘তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্প ও স্থানীয় কোম্পানিগুলো যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের গোলাবারুদ, ইলেকট্রনিক্স ও যন্ত্রাংশ কিনতে চায়।’
ফিদান উল্লেখ করেন, এই চুক্তির পূর্বশর্ত হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে ২০১৯ সালে তুরস্কের ওপর এস-৪০০ কেনার কারণে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে। পাশাপাশি, এফ-৩৫ ফাইটার জেট প্রোগ্রাম থেকেও তুরস্কের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, প্যাকেজটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থন পেতে পারে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, এস-৪০০ ইস্যুতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং এফ-৩৫ প্রোগ্রামে ফেরার বিষয়ে আইনি বিশেষজ্ঞরা কাজ করছেন এবং বর্তমান বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গেও এ নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। তুরস্ক এর মাধ্যমে তাদের জন্য ইতোমধ্যে প্রস্তুতকৃত ছয়টি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ফেরত পাওয়ার আশা করছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তুরস্কের এই প্রস্তাব এমন এক সময়ে এসেছে যখন দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গত এক দশকের শীতল সম্পর্ক পেরিয়ে কূটনৈতিক ও প্রতিরক্ষা সম্পর্ক পুনর্গঠনে মনোযোগী হয়েছে। এই চুক্তি বাস্তবায়িত হলে তুরস্কের সামরিক সক্ষমতা যেমন বাড়বে, তেমনি মার্কিন অস্ত্র শিল্পও লাভবান হবে। তবে এর জন্য এস-৪০০ ইস্যুতে ওয়াশিংটনকে তাদের কঠোর অবস্থান থেকে সরে আসতে হবে।