শিরোনাম:

আবার ক্ষমতা পাবো তথন কোথায় যাবে

দুই সন্তান হত্যার দায় স্বীকার করলেন মা

রাশিয়ার হুঁশিয়ারি: টরাস ক্ষেপণাস্ত্র দিলে সরাসরি ইউক্রেন-যুদ্ধে জড়াবে জার্মানি

১০ লাখ টাকার চেক সঙ্গে সোনার মেডেল, ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে প্রিয় শিক্ষককে বিদায়

চার মাসের সন্তানকে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করে মোবাইল কিনলেন মা

আরবদের নিয়ে যে স্বপ্ন দেখে নবীজি ভয় পেয়েছিলেন

ডেইলি রিপোর্টঃ
প্রকাশিত : এপ্রিল ১৪, ২০২৫

বিশেষ প্রতিবেদন: নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এক রাতে ঘুম ভেঙে অত্যন্ত ভীত ও উদ্বিগ্ন অবস্থায় জেগে উঠলেন। তাঁর মুখে উচ্চারিত হচ্ছিল, “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ!” তাঁর পাশে থাকা স্ত্রী কাঁপা কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলেন, “হে আল্লাহর রাসূল, কি হয়েছে?”

নবীজি (সাঃ) বললেন, “আজ রাতে আমি এমন একটি দৃশ্য দেখেছি, যা দেখে আমি আরব জাতির ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর উদ্বেগে পড়েছি। এক মহা ফিতনা তাদের দিকে ধেয়ে আসছে, এক বিপর্যয় যেটি ধ্বংস ডেকে আনবে।”

তিনি বলেন, “আজ সেই দেয়াল—যেটি যুলকারনাইনের সময় ইয়াজুজ ও মাজুজের বিরুদ্ধে তৈরি করা হয়েছিল—সেই দেয়ালে একটি ফাঁক দেখা দিয়েছে।”

তিনি ব্যাখ্যা করলেন, “যেদিন সমাজে নগ্নতা, বেহায়াপনা এবং অশ্লীলতা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে, সেদিন শুধু সাধারণ মানুষই নয়, আলেম, ইমাম, শিক্ষিত শ্রেণিও ধ্বংসের মুখোমুখি হবে।”

নবীজির সেই দৃষ্টিভঙ্গি আজকের সমাজে আশ্চর্যজনকভাবে মিলে যায়। আজ আমরা দেখছি—সারা দুনিয়ায় পর্নোগ্রাফির সয়লাব, ফ্রি-সেক্সের প্রচার, নারীদের বেপর্দা চলাফেরা, মাদক, সুদ, আর বেহায়াপনার ছড়াছড়ি।

যুবসমাজ আজ প্রযুক্তির দাস। মোবাইল ফোনে ডুবে থাকা, দিনের পর দিন টিকটকে, হারাম অ্যাফেয়ারে, জুয়া ও ফেতনায় মস্তিষ্ক বিকৃত হয়ে পড়ছে। এই যুবসমাজ কি আগামীতে জাতির নেতৃত্ব দিতে পারবে?

ভাই ও বোনেরা, এই সময়ে ইসলামী শিক্ষা, দ্বীনের জ্ঞান, নামাজ ও কোরআনের আলোকেই হতে পারে আমাদের একমাত্র পথপ্রদর্শক। আমাদের দরকার দায়িত্ববান পিতা-মাতা, যারা তাদের সন্তানদের শুধু আধুনিক শিক্ষায় নয়, ইসলামের মূল ভিত্তিতেও শিক্ষিত করে তুলবেন।

আমরা ভুলে গেছি আমাদের গৌরবময় অতীত—যেখানে মুসলিম বিজ্ঞানী, দার্শনিক, চিকিৎসকরা সভ্যতার ভিত্তি তৈরি করেছিলেন। ইবনে সিনা, জাবির ইবনে হাইয়ান, ইবনে রুশদের মতো মনীষীরা মানবজাতিকে জ্ঞানের আলোয় উদ্ভাসিত করেছিলেন।

আজ যদি আমরা প্রযুক্তি ব্যবহার করি, আমাদের উচিত সেই প্রযুক্তিকে দ্বীনের খেদমতে লাগানো। আমাদের উচিত সমাজে নৈতিকতা ফিরিয়ে আনা। ইসলামের দাওয়াতের কাজে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করা।

আমাদের সন্তানদের এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে, যেন তারা ইসমাইল (আঃ)-এর মতো আত্মসমর্পণকারী, হযরত মারিয়াম (আঃ)-এর মতো পবিত্র চরিত্রের অধিকারী হয়। টিকটকের নেশায়, বাইকের পিছনে ঘোরাফেরা করে, প্রেম ও পতনের গল্প নয়—তারা হোক দীনের পথে চলা আলোকিত প্রজন্ম।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেদায়েত দান করুন। আমাদের সন্তানদের হেফাজত করুন এই বেহায়াপনা ও বিপথগামিতা থেকে। আমিন।

পূর্ববর্তী সংবাদ পরবর্তী সংবাদ
সর্বশেষ সংবাদ
  • সর্বাধিক পঠিত