শিরোনাম:

১০ লাখ টাকার চেক সঙ্গে সোনার মেডেল, ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে প্রিয় শিক্ষককে বিদায়

চার মাসের সন্তানকে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করে মোবাইল কিনলেন মা

ভারতে মুসলিমদের ‘নিরাপত্তা’ নিশ্চিতে ঢাকার আহ্বানে যা বলল দিল্লি

নির্বাচনের আগে জামায়াত আমিরের তিন শর্ত

ইচ্ছা আছিলো পড়ালেহা করে মায়ের কষ্ট দূর করমু

ক্রিকেট থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ পাপনসহ দুদকের কাছে ফেঁসে যাচ্ছে যারা

ডেইলি রিপোর্টঃ
প্রকাশিত : এপ্রিল ১৫, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: ক্রিকেটের মসনদে এবার দুর্নীতির অভিযোগ! আচমকা বিসিবিতে (বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড) হানা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুপুর ১২টার দিকে তিন সদস্যের একটি বিশেষ তদন্ত দল বিসিবিতে প্রবেশ করে এবং প্রায় এক ঘণ্টা ধরে অনুসন্ধান চালায়। তারা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র সংগ্রহ করেছে, যা নিয়ে এখন বিস্তর আলোচনা চলছে।

দুদক জানিয়েছে, এ অভিযান তিনটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে চালানো হয়েছে। অভিযোগগুলো যাচাই-বাছাইয়ের পর কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে।

প্রথম অভিযোগটি বিসিবির সবচেয়ে জনপ্রিয় আয়োজন বিপিএল (বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ) নিয়ে। তৃতীয় আসর থেকে দশম আসর পর্যন্ত আট বছরে টিকিট বিক্রি থেকে আয় দেখানো হয়েছে মাত্র ১৫ কোটি টাকা। অথচ একাদশ বিপিএলে, অর্থাৎ ফারুক আহমেদের সময় মাত্র এক আসরেই টিকিট বিক্রি থেকে আয় হয়েছে ১৩ কোটি টাকা! এই বিশাল অমিলকে কেন্দ্র করেই প্রথম তদন্তের সূচনা।

দুদক প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, আগে হয়তো একটি নির্দিষ্ট চুক্তির আওতায় টিকিট বিক্রয় হতো, যেখানে কোম্পানিগুলো নির্দিষ্ট অঙ্ক বিসিবিকে দিত। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিসিবি নিজেই টিকিট বিক্রির দায়িত্ব নেয় এবং আয়ে হঠাৎ এই উল্লম্ফন দেখা যায়। এ থেকেই অনিয়মের প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে।

দ্বিতীয় অভিযোগটি তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগ নিয়ে। আগে যেখানে মাত্র ২-৪টি দল অংশগ্রহণ করতো, এবার সেখানে অংশ নিয়েছে ৬০টি দল! জানা গেছে, প্রতি দলের জন্য ফি নির্ধারণ করা হয়েছে এক লক্ষ টাকা। প্রশ্ন উঠেছে—আগে কেন এত কম দল অংশ নিত? অংশগ্রহণে কি কোনো চাপ ছিল? না কি অর্থনৈতিক অস্বচ্ছতা কাজ করেছে? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে দুদক।

সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগটি এসেছে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত ক্রিকেট উৎসব ঘিরে। বিসিবি বলছে, পুরো আয়োজনে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২৫ কোটি টাকা। অথচ বাজেট ছিল ১৫ কোটি এবং প্রকৃত খরচ হয়েছে মাত্র ৭ কোটি টাকার মতো। প্রশ্ন হলো, বাকি টাকার কী হলো? এই ১৮-১৯ কোটি টাকার হিসাব মিলছে না বলে জানায় দুদক।

তদন্তকারী দল প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রস্তুত করছে। এরপর এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবে দুর্নীতি দমন কমিশন।

বিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুদককে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনীয় তথ্য ও নথিপত্র সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে দিয়ে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

পূর্ববর্তী সংবাদ পরবর্তী সংবাদ
সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত