হোয়াইট হাউস ছাড়ার পর প্রথমবার জনসমক্ষে এসেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর সমালোচনা করলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সামাজিক নিরাপত্তা-বিষয়ক ট্রাম্পের নেয়া পদক্ষেপেরও সমালোচনা করেন তিনি। তবে বাইডেনের অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছে ট্রাম্প প্রশাসনের সামাজিক নিরাপত্তা বিভাগ।
হোয়াইট হাউস ছাড়ার পর প্রথমবারের মতো দেয়া বক্তব্যে ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকাণ্ডকে তুলোধুনা করলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তার দাবি, ক্ষমতা নেয়ার মাস কয়েকের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের ধ্বংস ডেকে এনেছে ট্রাম্প প্রশাসন। নতুন প্রশাসনকে ইঙ্গিত করে সোশ্যাল সিকিউরিটি প্রোগ্রামে অবহেলার বিষয়ে কড়া সমালোচনা করেন বাইডেন।
বলেন, ফেডারেল কর্মীদের ছাটাই করায় সোশ্যাল সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ওয়েবসাইটে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ব্যবহারকারীরা নিজেদের একাউন্টে প্রবেশ করতে পারছেন না।
বাইডেন আরও বলেন,
নতুন প্রশাসন প্রথমে গুলি ছুড়ছে, পরে লক্ষ্য ঠিক করছে। এতে অযথা মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছে। ১০০ দিনেরও কম সময়ে তারা বর্ণনাতীত ক্ষতি করেছে। হাজারো মানুষের চাকরি কেড়ে নিয়েছে।
সাবেক প্রেসিডেন্টের এই বক্তব্যের পর তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বর্তমান সরকারের সোশ্যাল সিকিউরিটি প্রশাসন। তাদের দাবি, বাইডেনের করা অভিযোগ মনগড়া। বর্তমান সরকার যুক্তিযুক্ত উপায়ে প্রশাসনিক কাজ চালানোর সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের এক পোস্টে নিজেদের সাফাই গেয়ে পোস্ট করেন তারা।
যেখানে দাবি করা হয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ফোনসেবার মাধ্যমে সেবাদান কর্মসূচিকে আরও উন্নত করা হচ্ছে। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, প্রযুক্তি বিভাগের বেশিরভাগ কর্মী ছাঁটাইয়ের মুখোমুখি হননি। এমনকি কোনো কার্যালয়ও স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হয়নি।
এদিকে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন বলছে , ৩০টিরও বেশি বিদেশি দূতাবাস ও কনস্যুলেট বন্ধ করতে পারে ট্রাম্প প্রশাসন। তালিকায় আছে মাল্টা, লুক্সেমবার্গ, দক্ষিণ কোরিয়া, কঙ্গো, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, দক্ষিণ সুদানসহ বেশ কিছু দেশ। অভ্যন্তরীণ নথি থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানায় গণমাধ্যমটি। পররাষ্ট্র দফতর পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে এসব পদক্ষেপ নিচ্ছে প্রশাসন।
কর্মী ছাঁটাই নিয়ে বিতর্কের মুখেই ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি বা ডিওজিই পুরো সরকার ছোট করে আনতে এই পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে উঠে এসেছে প্রতিবেদনটিতে।